পোস্টগুলি

2017 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঢাকের কথা

ছবি
  লি খতে লিখতে ধন্দও তো কম হয় না। কত প্রশ্ন। কার জন্য লেখা? কেন লেখা? প্রথম প্রশ্নের না হয় উত্তর হয়, বুদ্ধিমানের জন্য লেখা। কেন লেখার জবাবি শূন্যটাও কি ওখানে নিহিত নেই? নিজেকে ঠকাতেই লেখা।  আমি  কত  বুদ্ধিমান তা প্রমাণ করতে লেখা।  হয়তো তাও নয়। কিছুটা ভান থাকলেও ভাষা এক সপ্রমাণ মাধ্যম। তাত্ত্বিকেরা তো বলেন ভাষা শুধু ভাবের গ্রাহক মাত্র নয়। ভাষার আছে নিজস্ব কিছু কোড অব কন্ডাক্ট। আছে জীবনপ্রণালী। শব্দ নৈঃশব্দ্য, শূন্য মহাশূন্য, নিরবধি সময়কে নিয়ে যে ছায়া মায়া এবং নিরেট শরীর গড়ে ওঠে, বা বলা ভাল গড়ে তোলা হয় বাস্তুকারের নিপুণতায়, তার নাম কথা। কথার অন্তর্বয়নে লুকিয়ে থাকে মনিময় গ্রন্থনা। যে -সজ্জায় ভেদাভেদ থাকে না চেতন অচেতনে, সত্য আর মায়ায়, জাদু আর বাস্তবতায়। সময় কথাকে দেয় মহাশব্দের শিরোপা, বাকি সব এলেবেলে, দূর হটো। বাস্তব আর পরাবাস্তবের খটাখটি কথার বোধকে জারিত করে, মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় মহাকথায়। পরাগ্রন্থনার হঠাৎ বিরাম হঠাৎ ছুটের জাদু ভাষা যার করায়ত্ত, সে-ই সিকন্দর। পাসওয়ার্ড জানা থাকলে সন্দর্ভ রচনা, রচনার পাঠ, পুনঃপাঠ, পরাপাঠ কিছুই কিন্তু ছায়ার সঙ্গে কুস্তি নয়। জানি, কিন্তু পারি ক

ঠাকুমা হারিয়ে গেছেন --- রণবীর পুরকায়স্থ

ছবি
        করিমগঞ্জ শ হরের সীমা ছাড়িয়ে লঙ্গাই পুল পেরিয়ে ওপারে পৌঁছতেই পরিচিত দৃশ্য। নদীর পারে সারে সারে বেগুনের গাছ, গাছ দেখতে তেমন সুদৃশ নয় কিছু কিন্তু তেল চকচকে নাদুশ নুদুশ গোলগাল গুণময়কে দেখেই তার মনে পড়ে যায় বন্ধুবর প্রমেশ আচার্যির কথা। একই ব্যাঙ্কে চাকরির সুবাদে বন্ধুত্ব, প্রমেশের বাড়ি করিমগঞ্জ আর তার শিলচর, পোস্টিং এ প্রমেশ মহকুমা শহর হাইলাকান্দি আর তার মোহনপুর গ্রামে। প্রমেশেরও ভাড়াবাড়ি রাঙা উ টি রোডে, সোমবার বিকেলে বন্ধুর বাড়িতে থাকে তার রাত্রিবাসের নিমন্ত্রণ ।  এমনই এক শীতের সোমে প্রমেশ বলে,       --- আপনার লাগি আইজ একটা  কড়াই কিনলাম দেখইন ?         এটা আবার কী , হাতের পাঞ্জার সাইজে লোহার কড়াই   । বলে ,      --- এতো ছোটো ?        -- এক এক পিস ভাজমু আর তুলমু । আইজ খালি গরমভাত বেগুনভাজা ঘি আর কালালঙ্কা।         প্রমেশ নিজে রান্না করে পারিপাটি। সে রাতেই সদ্য যুবক বিশ্বজিৎ প্রথম দেখে বিখ্যাত লঙ্গাই বেগুন, কাছাড়ে বলে থালবেগুন, পারফেক্ট গোল । এখনও লেগে আছে জিভে বেগুনের মাপে কড়াইএর  ভাজা বার্তাকু । খাওয়ার পর বন্ধুকে বলেছিল তার ঠাকুমার বাপের বাড়িও লঙ্গাই নদীর পারে দণ্ডক