পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এক ঘণ্টার ঘটনা

ছবি

সমান্তরাল

ছবি
রণবীর পুরকায়স্থ ‘আই অ্যাম ফিনিশড। আমার সব শেষ হয়ে গেল।’ ভোর চারটেয় রমার সামনে বসে কথাগুলি বলেছিলাম ম্যাডামকে। তিনদিন ধরে কোমায় ছিল রমা। শংকর ডাক্তার বলেছে জণ্ডিস, বলেছে সুগার ডাউন হয়ে তিরিশে চলে গেছে, তাও আমি বুঝতে পারিনি কিছু। রাত তখন বারোটা রমার বাঁ হাতটা বুকের উপর নড়ছিল। শংকরকে টেলিফোন করেছিলাম, বলল রিফ্লেক্স, তাও বুঝিনি কিছু । ভোর চারটেয় সব শেষ হয়ে গেল। ব্রেস্ট ক্যানসার, ডানদিকের স্তন কেটে বাদ দিতে হয় তিনবছর আগে। তিনমাস অন্তর মুম্বাই গিয়ে কেমোথেরাপি করিয়ে এসেছি। ভাগ্যিস রমার ছোটভাইর বাড়ি ছিল ভাসিতে। তাও দামি কেমো দেওয়াতে পারিনি, টাকা কোথায়। রমাকে বলেছিলাম, বাড়ি বিক্রি করে দেব। করতে দেয় নি। বলেছে, --- বাড়ি বিক্রি করে দেবে? ভাবতে পারলে? সন্তানকে বিক্রি করবে?   প্রথমদিকে ডাক্তার রানাডে বলেছিল বারোটা হয়ে গেলে নরম্যাল লাইফ। দশটা ঠিকঠাক চলছিল এতসবের মধ্যে, প্রেশার সুগার সব সামলে দশ নম্বরের পর খুশিতে আনন্দে কলকাতা হয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। রমার ইচ্ছে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেবে। আমি এসবে খুব একটা মানামানি করি না, তাও গেছি। ফেরার সময় শেয়ালদা স্টেশন থেকে রজনীগন্ধার শেক

প্রীতি পঞ্চায়েত

ছবি
     ব রাক উপত্যকা বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের হাইলাকান্দি অধিবেশনে সঞ্চালক বিল্বদল দেব তার স্বাগত ভাষণে সবার শেষে উল্লেখ করে রঞ্জন সেন এর নাম । এবং প্রধান অতিথিকে ডাকেও অন্তিম পর্বে । রঞ্জন তাতে কিছু মনে করে নি । বাকি যারা তার সঙ্গে সভায় বসেছিল তাদের বেশির ভাগই কলকাতার ঢাকার সিলেটের স্বল্পখ্যাত বুদ্ধিজীবী । মন্ত্রী আর প্রশাসনিক প্রধানরা ঘিরেছিলেন  রঞ্জনকে । রঞ্জন সেন তো ঘরের ছেলে । বিল্ব তাকে সম্মান জানিয়ে বলে, রঞ্জনদার ঘরে ফেরা । মহানাগরিক হয়ে যাওয়া রঞ্জন সেনকে একটু সুক্ষ্ম খোঁচায় বিদ্ধ করার প্রচেষ্টা । হবে হয়তো, কথার মারপ্যাচ কত রকমেরই হয় । ওসব কেয়ার করে না রঞ্জন, ডাউনমার্কেট কথাবার্তায় থাকে না সে । শ্রীচৈতন্যের মতো বাংলা সাহিত্যবাসরে রঞ্জন সেন এর রাগ দেখে নি কেউ, এট লিস্ট তার উত্তরাশ্রমে । অলওয়েজ লাভারবয় ভাবমূর্তি । শুধু প্রেমের গল্প লিখলেই হবে না, ইমেজটাও ঠিক রাখতে হয় । বলতে হয়, মেরেছিস কলসির কানা তা বলে কী প্রেম দেব না । তবে, যাদের বই বিক্রি হয় না, যারা হিংসুটে, ওরা বলে বড্ড বানিয়ে লেখে লোকটা । এত সাজুগুজু করে পরিপাটি করে নৌকা ভাড়া করে, সেন্ট পারফিউম মেখে কী করে যে অপেক্ষা