জন্মান্তর
।।রণবীর পুরকায়স্থ।। বি কেল পাঁচটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত সময়কাল স্বরাজ চৌধুরীর একান্ত নিজের। একার। এই দুঘণ্টায় ভরে নেওয়া দিনের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন । কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে শাদা শাড়ির কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে গেলেই হল না, দড়াম করে দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দ না শোনা পর্যন্ত সে নড়বে না। নট নড়নচড়ন, ঘুমের ভান করে পড়ে থাকবে বিছানায়, দ্বিপ্রাহরিক ঘুমের সুখাবেশে। দরজার ঐ ধুমধাড়াকা শব্দের সঙ্গেই উঠে বসবে বিছানায়। প্রজাপতির মতো দুইহাত মুঠো করে ঠেলে দেবে পিছনে । মুখে বলবে, ইয়া। মানে এখন জয়ের সময়, আমার সময়। স্বরাজ চৌধুরীর পঁচিশ বছরের চাকুরে ছেলের নাম প্রজাপতি, আর কাঁধঝোলায় জলের বোতল,মোবাইল,টাকার বটুয়া,কলমের বদলে রিফিল আর নোটবুক নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া জন, স্বরাজ চৌধুরীর স্ত্রী, জীবন সঙ্গিনী। নামের দরকার নেই। কথাবার্তায় মনে হবে রাগের বিষবাষ্প, আসলে এই ফ্ল্যাটবাড়ির বহমানা অম্লজান তিনি। শীত যাই যাই বসন্তে প্রজার মার ঘরে এখন তার একান্তে সময় কাটানো, অনুপস্থিত বিবিজির সঙ্গে দুষ্টবুদ্ধির ছেড়ছাড় । প্রজার মার রঙঘরের সদ্য নির্গত সুগন্ধের পরশ দুই নাকে ভরপুর নেওয়া। প্রসাধনের মায়াবী গন্ধে হারিয়ে যাওয়া