পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জন্মান্তর

ছবি
   ।।রণবীর পুরকায়স্থ।।        বি কেল পাঁচটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত সময়কাল স্বরাজ চৌধুরীর একান্ত নিজের। একার। এই দুঘণ্টায় ভরে নেওয়া দিনের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন । কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে শাদা শাড়ির কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে গেলেই হল না, দড়াম করে দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দ না শোনা পর্যন্ত সে নড়বে না। নট নড়নচড়ন, ঘুমের ভান করে পড়ে থাকবে বিছানায়, দ্বিপ্রাহরিক ঘুমের সুখাবেশে। দরজার ঐ ধুমধাড়াকা শব্দের সঙ্গেই উঠে বসবে বিছানায়। প্রজাপতির মতো দুইহাত মুঠো করে ঠেলে দেবে পিছনে । মুখে বলবে, ইয়া। মানে এখন জয়ের সময়, আমার সময়। স্বরাজ চৌধুরীর পঁচিশ বছরের চাকুরে ছেলের নাম প্রজাপতি, আর কাঁধঝোলায় জলের বোতল,মোবাইল,টাকার বটুয়া,কলমের বদলে রিফিল আর নোটবুক নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া জন, স্বরাজ চৌধুরীর স্ত্রী, জীবন সঙ্গিনী।     নামের দরকার নেই। কথাবার্তায় মনে হবে রাগের বিষবাষ্প, আসলে এই ফ্ল্যাটবাড়ির বহমানা অম্লজান তিনি। শীত যাই যাই বসন্তে প্রজার মার ঘরে এখন তার একান্তে সময় কাটানো, অনুপস্থিত বিবিজির সঙ্গে দুষ্টবুদ্ধির ছেড়ছাড় । প্রজার মার রঙঘরের সদ্য নির্গত সুগন্ধের পরশ দুই নাকে ভরপুর নেওয়া। প্রসাধনের মায়াবী গন্ধে হারিয়ে যাওয়া

চিরিকন্যা

ছবি
।।রণবীর পুরকায়স্থ।।  শব্দের উৎস কী করে জানবে দয়াময়ী। ধ্বনি দিয়ে যে শব্দ তৈরি হয় সে কী কোনো ভাষার। অতশত না জানলেও চলে। মাত্র তিন শব্দে উৎসব আসে বাংলায়। ধর্মীয় উৎসব নয় ঢ্যাম কুড়া কুড় । ঢ্যাম কুড়া কুড় ঋতুর উৎসব, শরৎ আসে বাংলায়। বাংলা মানে এক বিশাল দেশ, ভাষাভূমি। ধর্মব্যবসায়ী, ভাষাব্যবসায়ী আর নেতৃত্বলোভী কতিপয় মানুষ কীটের দংশন - ক্ষতে ছারে খারে যাওয়া নকশীকাঁথা নিয়ে দয়াময়ীর ভাবনা এখন। সন্ধ্যারতির ঢাক আর কাঁশর ঘণ্টার বাদ্যি তার ব্যাথাতুর চেতনায় এক সুখ ও আনন্দের অনুরণন তোলে। ভাবে এখন যদি দু এক ফোঁড় সূচিকর্মে জুড়ে যেত বাংলা নামে দেশ। ভেঙ্গে গেছে তো কী হয়েছে। সব ভাঙনেই রোধ করা যায়। শিখিয়েছে শিবলি। দয়াময়ী তার পনের বছরের পঙ্গুত্বের নিরাময় পেয়েছে শিবলির মনের জোরে। শিবলি বলেছে শুভচিন্তায় সব হয়। বলেছে মন দিয়ে চাইলে কী না হয় ! দয়াময়ী তার ভাষা বুঝে না। সে বলে আমি তোমার ছোটবোন, আদরের ছোটবোন শিবলি। শিবলি? এ আবার কেমন নাম? শিবলি বলে,যেমন নাম দয়াময়ী তেমনি তার ছোটবোন শিবলি। শিবলি সব পারে। দয়াময়ী বলে, সব পারিস ? সে চোখ পাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে, হুঁ। দয়াময়ী বলে, জুড়ে দিতে পারিস ঢাকা বরিশাল